পটুয়াখালীর বাউফলে নির্মাণ হবে ৯ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু

পটুয়াখালীর বাউফলে নির্মাণ হবে ৯ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু

দেলোয়ার হোসেন, বাউফল প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালীর বাউফলের লোহালিয়া নদীর উপর বগা পয়েন্টে নির্মাণ হতে যাচ্ছে প্রায় ১০২০ মিঃ দৈর্ঘ্যরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু। বাউফল ও দশমিনার সাথে বরিশাল,পটুয়াখালী,ঢাকার সড়ক পথে যাতায়াতের জন্য লোহালিয়া নদীর বগা পয়েন্টের উপর একটি সেতু নির্মাণের জন্য এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে দাবী জানিয়ে আসছিলেন। স্বাধীনতা পর থেকে এ অঞ্চলের মানুষ নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থীদেরকে  বিজয় করে আসছে। এলাকাবাসীর দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারী প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতি ও সাবেক চীফ হুইপ আ.স.ম ফিরোজ এমপি প্রচেষ্টায় আওয়ামীলীগ সরকারের সহযোগিতায় চীনের সেতু বিভাগের একটি প্রতিনিধি দল সেতু নির্মাণের জন্য স্থান পরিদর্শন করেন।
 পরিদর্শন শেষে ২০১৭ সালের ১১মে ৯ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরীত হয়। একই বছরের ২৪ অক্টোবর অবহিত করা হয় যে, ৮ম বাংলদেশ-চীন বরিশাল-খুলনা সড়কের পিরোজপুরের বেকুটিয়া সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হলে ৯ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী বগা সেতু নির্মাণের জন্য প্রয়োজণীয় কার্যক্রম গ্রহন করা হবে। বর্তমানে ৮ম বাংলদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর অগ্রগতি কাঙ্খিত পর্যায়ে উন্নীত হওয়ায় ৯ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহনের জন্য সচিব আরডি বরাবরে পত্র প্রেরন করা হয়েছে। যা ৮ম বাংলদেশ-চীন সেতু এখন উদ্বোধনের অপেক্ষা।
 উদ্বোধনের পরেই পটুয়াখালীর বাউফলের লোহালিয়া নদীর উপর বগা পয়েন্টে নির্মাণ হতে যাচ্ছে ৯ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী বগা সেতু। সেতু নির্মাণের খবর শুনে এলাকার মানুষের মুখে হাসি ফুঠেছে। সীমাহীন দুর্ভোগ লাঘব হবে ব্যবসায়ী,চাকুরীজীবি,শিক্ষার্থীসহ সকল শ্রেনী-পেশার মানুষের ।
আ.স.ম ফিরোজ এমপি বলেন,এই সেতুটি নির্মিত হলে দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক পথে আর কোন ফেরি থাকবে না। এই সেতুটি হলে জেলার গলাচিপা,দশমিনা ও বাউফলের কয়েক লাখ মানুষের স্বপ্ন পূরন হবে। প্রতিদিন হাজার হাজার লোক বিভাগীয় শহর বরিশালসহ ঢাকার সাথে যোগাযোগ করতে পারবে। এলাকার অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে পারবে। কৃষকরা তাদের ন্যায্যমূল্য পাবে। এ অঞ্চলের মানুষেরা দিনের কাজ শেষ করে পদ্ধা সেতু দিয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি আসতে পারবে। তাতে সময়ও কম লাগবে এবং পরিবহন খরচও কম হবে ।
 যোগাযোগ ব্যবস্থা সহ দক্ষিণাঞ্চলের জনগনের ভাগ্যেন্নয়নে আওয়ামীলীগের সভানেত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অবদান। শেখ হাসিনা না হলে দক্ষিণাঞ্চল উন্নয়ন হতো না।
তিনি আরো বলেন,গত ১৯-২০২২ইং তারিখে কালাইয়া-তেতুলিয়া নদীর উপর ফেরী চলাচলের ব্যবস্থাসহ কালাইয়া-নওমালা-কাশিপুর-লোহালিয়া-পটুয়াখালী এনজিইডির রাস্তাটি সড়ক বিভাগে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রাণালয়ে একটি লেখিত প্রস্তাবনা দিয়েছেন। প্রস্তাবনা অনুযায়ী ৩০-০১-২২ ইং তারিখে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রাণালয়ে সিনিয়র সচিব আবদুল্লাহ-আল মাসুদ এর স্বাক্ষরীত একটি পত্র প্রধান প্রকৌশলী সড়ক ও জনপদ বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেছেন।
বাউফল থেকে ভোলা ফেরি সার্ভিস চালু হলে খুলে যাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন দুয়ার। স্বল্প সময়ে ভোলা থেকে বাউফল উপজেলার কালাইয়া-নওমালা-কাশিপুর-লোহালিয়া-পটুয়াখালী হয়ে বরিশালসহ ঢাকার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে এবং নতুন নতুন বর্মসংস্থানের সৃষ্টিসহ বেকার সমস্যার সমাধান হবে । দক্ষিণাঞ্চলে নতুন কর্মস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে চট্রগাম থেকে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরের মধ্যে আন্ত:সড়ক ও নৌ-যোগাযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে কালাইয়া,চন্দ্রদ্বীপ ও ভোলার লালমোহনের নাজিরপুর ফেরি সার্ভিস পয়েন্ট  পরিদর্শন করেছেন সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতি ও সাবেক চিফ হুইপ স্থানীয় এমপি আ.স.ম ফিরোজ।
পরিদর্শন কালে উপস্থিত ছিলেন, জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকেীশলী কামরুল হাসান,ইউএন’ও আল আমিন,ভাইস চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন,উপজেলা আওমীলীগের সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক আনিচুর রহমান,কালাইয়া ইউপি চেয়ারম্যান ফয়সাল আহম্মেদ ও চন্দ্রদ্বীপ ইউপির চেয়ারম্যান এনামুল হক প্রমুখ ।